বুধবার, ১৫ মার্চ, ২০২৩

সাংগঠনিক রিপোর্ট যুবদল পালংখালী ইউনিয়ন শাখা।

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী যুবদল পালংখালী ইউনিয়ন শাখার সাংগঠনিক রিপোর্ট উখিয়া উপজেলা যুবদলের সংগ্ৰামী আহ্বায়ক জনাব এম সাইফুল সিকদার বরাবর জমা দেওয়ার সময় পালংখালী ইউনিয়ন যুবদলের সম্মানিত আহ্বায়ক জনাব হাফেজ আব্দুল মজিদ ও সদস্য সচিব ওসমান সরওয়ার সিকদার,



 

সোমবার, ২৭ ফেব্রুয়ারী, ২০২৩

অভিনন্দন ছৈয়দ আহমদ উজ্জল সহ- সাংগঠনিক সম্পাদক কেন্দ্রীয় যুবদল ( চট্টগ্রাম বিভাগ )

 বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী যুবদল কেন্দ্রীয় নির্বাহি কমিটির সহ সাংগঠনিক সম্পাদক (চট্রগ্রাম বিভাগ) নির্বাচিত হওয়াই কক্সবাজার জেলা যুবদলের বর্তমান সভাপতি Adv Sayed Ahamed Uzzal ভাই কে বীরোচিত সংবর্ধনা।


 পালংখালী ইউনিয়ন যুবদলের পক্ষ থেকে প্রানঢালা অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা।


বৃহস্পতিবার, ২০ অক্টোবর, ২০২২

যুবদলের ৪৪তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী সফল করার লক্ষ্যে প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত।

 আগামী ২৭ই অক্টোবর ২০২২ইং জাতীয়তাবাদী যুবদলের ৪৪তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী সফল করার লক্ষ্যে  ২০/১০/২০২ইং রোজ বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী যুবদল পালংখালী ইউনিয়ন শাখার আওতাধীন ৬ ও ৯ নং ওয়ার্ড কতৃক আয়োজিত প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত হয়।







বুধবার, ১৯ অক্টোবর, ২০২২

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী যুবদলের ৪৪তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী সফল করার লক্ষ্যে পালংখালী ইউনিয়ন শাখার আওতাধীন ৮ নং ওয়ার্ড যুবদলের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত।

 আগামী ২৭ই অক্টোবর ২০২২ ইংরেজি উখিয়া উপজেলা যুবদল কতৃক আয়োজিত বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী যুবদলের ৪৪তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী সফল ও স্বার্থক করার লক্ষ্যে পালংখালী ইউনিয়ন শাখার আওতাধীন ৮ নং যুবদলের মতবিনিময় ও প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত উক্ত সভায় উপস্থিত ছিল ইউনিয়ন যুবদলের সম্মানিত আহবায়ক হাফেজ আব্দুল মজিদ সদস্য সচিব ওসমান সরওয়ার সিকদার যুগ্ম আহবায়ক মোফিদুল আলম লালু যুগ্ন আহবায়ক দিলদার মিয়া ৮ নং ওয়ার্ড যুবদলের সভাপতি মোহাম্মদ আমিন সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ শফিক উদ্দিন সাংগঠনিক সম্পাদক নুরুল হক সহ অত্র ওয়ার্ড যুবদলের নেতৃবৃন্দেরা উপস্থিত ছিল।







শুক্রবার, ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০২২

পালংখালী ইউনিয়ন যুবদলের আওতাধীন ৩,৪ ও ৫ নং ওয়ার্ড যুবদলের সম্মেলন সফল করার লক্ষ্যে প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত।

 বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী যুবদল পালংখালী ইউনিয়ন শাখার আওতাধীন ৩,৪, ও ৫,নং ওয়ার্ডের সম্মেলন সফল ও স্বার্থক করার লক্ষ্যে থ‍্যাইংখালী ষ্টেশনে প্রস্তুতি  সভা অনুষ্ঠিত উক্ত সভায় উপস্থিত ছিলেন ইউনিয়ন বিএনপি নেতা আব্দুর রশিদ সাওদাগর,ইউনিয়ন যুবদলের আহবায়ক আব্দুল মজিদ,সদস‍্য সচিব উসমান সরওয়ার সিকদার, যুগ্ম আহবায়ক শাহ আলম, যুগ্ম আহবায়ক মুফিদুল আলম, যুগ্ম আহবায়ক দিলদার মিয়া ৩ নং ওয়ার্ড যুবদলের আহবায়ক শাহ আলমগীর বাহাদুর, ৪নং ওয়ার্ড যুবদলের আহবায়ক আব্দুস সালাম, ৫ নং ওয়ার্ড যুবদলের আহবায়ক বাবুল জিয়া সহ অত্র ওয়ার্ডের যুবদলের নেতৃবৃন্দের। 










বৃহস্পতিবার, ২৯ সেপ্টেম্বর, ২০২২

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রদল নেতাকর্মীদের ওপর ছাত্রলীগ সন্ত্রাসীদের হামলার প্রতিবাদে নয়াপল্টন বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল এর প্রতিবাদ ছাত্র সমাবেশে বক্তব্য রাখছেন কেন্দ্রীয় যুবদলের সংগ্রামী সভাপতি #সুলতান_সালাহউদ্দিন_টুকু ভাই

 #২৯_সেপ্টেম্বর_২০২৩

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রদল নেতাকর্মীদের ওপর ছাত্রলীগ সন্ত্রাসীদের হামলার প্রতিবাদে নয়াপল্টন বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল এর প্রতিবাদ ছাত্র সমাবেশে বক্তব্য রাখছেন কেন্দ্রীয় যুবদলের সংগ্রামী সভাপতি




রবিবার, ২৫ সেপ্টেম্বর, ২০২২

১৯ দফা।

 

দেশের আর্থ-সামাজিক মুক্তির লক্ষে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান ১৯ দফা কর্মসূচি প্রনয়ন করেছিলেন।

১. সর্বতোভাবে দেশের স্বাধীনতা, অখন্ডতা এবং সার্বোভৌমত্ব রক্ষা করা।

২. শাসন তন্ত্রের চারটি মূলনীতি অর্থ্যাৎ সর্বশক্তিমান আল্লাহর প্রতি সর্বাত্নক বিশ্বাস ও আস্থা, গনতন্ত্র,জাতীয়তাবাদ,সামাজিক ও অর্থনৈতিক ন্যায়বিচার সমাজতন্ত্র জাতীয় জীবনে সর্বাত্নক প্রতীফলন।

৩. সর্ব উপায়ে নিজেদেরকে একটি আত্ননির্ভরশীল জাতি হিসাবে গঠন করা।

৪. প্রশাসনের সর্বস্তরে, উন্নয়ন কার্যক্রমে ও আইন শৃংঙ্খলা রক্ষার ব্যাপারে জনগনের অংশগ্রহন নিশ্চিত করা।

৫. সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার এর ভিত্তিতে কৃষি উন্নয়ন এর মাধ্যমে গ্রামীন তথা জাতীয় অর্থনীতিকে জোরদার করা।

৬. দেশকে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ন করা এবং কেউ যেন ক্ষুধার্থ না থাকে তা নিশ্চিত করা।

৭. দেশে কাপড় এর উৎপাদন বাড়িয়ে সকলের জন্য অন্তত মোট কাপড় নিশ্চিত করা।

৮. কোন নাগরিক যেন গৃহহীন না থাকে তার যথাসম্ভব ব্যবস্থা করা।

৯. দেশকে নিরক্ষরতার অভিশাপ থেকে মুক্ত করা।

১০. .সকল দেশ বাসীর জন্য নূন্যতম চিকিৎসার ব্যবস্থা করা।

১১. সমাজে নারীর যথাযোগ্য মর্যাদা প্রতিষ্ঠা করা এবং যুবসমাজ কে সুসংহত করে জাতি গঠনে উদ্বুদ্ধ করা।

১২. দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে বেসরকারী খাতে প্রয়োজনীয় উৎসাহ দান।

১৩. শ্রমিকদের অবস্থার উন্নতি সাধন এবং উৎপাদন বৃদ্ধির সার্থে সুস্থ শ্রমিক-মালিক সম্পর্ক গড়ে তোলা।

১৪. সরকারী চাকুরীজীবিদের মধ্যে জনসেবা ও দেশ গঠনের মনোবৃত্তি উৎসাহিত করা এবং তাদের আর্থিক অবস্থার উন্নয়ন করা।

১৫. জনসংখ্যা বিস্ফোরন রোধ করা।

১৬. সকল বিদেশী রাষ্ট্রের সাথে সমতার ভিত্তিতে বন্ধুত্ব গড়ে তোলা এবং মুসলিম দেশ গুলোর সাথে সম্পর্ক জোড়দার করা।

১৭. প্রশাসন এবং উন্নয়ন ব্যবস্থা বিকেন্দ্রীকরন এবং স্থানীয় সরকার কে শক্তিশালী করা।

১৮. দূর্নীতিমুক্ত, ন্যায়নীতি ভিত্তিক সমাজ ব্যবস্থা কায়েম করা।

১৯. ধর্ম, গোত্র ও বর্ণ নির্বিশেষে সকল নাগরিকের অধিকার পূর্ন সংরক্ষন করা এবং জাতীয় ঐক্য ও সংহতি সুদৃঢ় করা।

গ্রামেগঞ্জে গিয়ে মানুষকে ঐক্যবদ্ধ করতে হবে, ঐক্য ছাড়া মুক্তি মিলবে না : মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর

 বিএনপি'র মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ঐক্য ছাড়া মুক্তি মিলবে না। তাই এখন গ্রামেগঞ্জে গিয়ে মানুষকে ঐক্যবদ্ধ করার কাজ করতে হবে। এটাই হবে রাজনৈতিক দল হিসেবে আমাদের প্রধান কাজ।

আজ মঙ্গলবার (২৭ আগস্ট) বিকেলে জাতীয় প্রেসক্লাবে মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান মরহুম কাজী জাফর আহমদের চতুর্থ মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত স্মরণ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, কিংবদন্তি নেতা ছিলেন কাজী জাফর আহমদ। দেশের ক্রান্তিকালে তিনি সবসময়ই সাহসী ভুমিকা গ্রহণ করতেন। তিনি সবার কাছেই ছিলেন একজন গ্রহণযোগ্য ও সজ্জ্বন ব্যক্তিত্ব।

মির্জা ফখরুল ইমলাম বলেন, ২০১৪ সালে নির্বাচনে মিডিয়া যে ভূমিকা পালন করেছে সেই ভূমিকা কিন্তু ২০১৮ সালে পালন করতে পারেনি। কারণ ২০১৮ সালে মিডিয়াকে সরকারের পক্ষ থেকে বলে দেয়া হয়েছে সব কিছু প্রকাশ করা যাবে না। তিনি আরো বলেন, বিচার বিভাগও এখন স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারছে না। দেশ এখন কঠিন সময় পার করছে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।

তিনি বলেন, রাজনৈতিক দল হিসেব আমাদের এখন প্রধান কাজ হচ্ছে দেশবাসীকে ঐক্যবদ্ধ করা। দেশবাসীকে বুঝাতে হবে দেশ এখন একটি কঠিন সংকটের মধ্যে পরেছে। এই সংকট থেকে মুক্তি পেতে হলে ঐক্যের কোনো বিকল্প নেই।


কাজী জাফর আহমদের স্মৃতিচারণ করে তিনি বলেন, কাজী জাফর আহমদ এই ঐক্যের কথাটিই সব সময় বলেছেন। সারা জীবন তিনি গণতন্ত্রের জন্য কাজ করেছেন। যারা দেশকে ভালবাসেন দেশের সার্বভৌমত্বকে রক্ষা করতে চান, তারা দ্বিধাবিভক্ত হবেন না। ফেসবুকে কি লিখেছে তা নিয়ে ভুল বুঝবেন না।

মির্জা ফখরুল সংসদ সদস্য রুমিন ফারহানার বিষয়ে না বুঝে নেতিবাচক মন্তব্য না করতেও সবার প্রতি অনুরোধ করেন। তিনি বলের, দেশনেত্রীর মুক্তি হলে গণতন্ত্র মুক্ত হবে। তাই নিজেদেরে মধ্যে কোনো ভুল বুঝাবুঝির সুযোগ নেই।

জাতীয় পার্টির সভাপতি ও সাবেক মন্ত্রী মোস্তফা জামান হায়দারের সভাপতিত্বে স্মরণ সভায় অন্যান্যের মধ্যে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন, জেএসডি সভাপতি আ স ম রব, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ট্রাষ্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী, বিএনপি’র ভাইস চেয়ারম্যান এডভোকেট নিতাই রায় চৌধুরী, বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক ড. মাহবুব উল্লাহ, জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি জাগপা’র মহাসচিব লুৎফর রহমান, জাতীয় পার্টির মহাসচিব জাফরুল্লাহ খান চৌধুরী (লাহুরী), কাজী জাফরের মেয়ে কাজী জয়া, প্রেসিডিয়াম সদস্য সাবেক এমপি সেলিম মাষ্টার, নওয়াব আলী আব্বাস খান, এডভোকেট শফিউদ্দিন ভূইয়া, এডভোকেট মুজিবুর রহমান, রুহুল আমীন, এ এস এম শামীম, ডা. এম এ মামুন ভুইয়া, মহসীন সরকার প্রমুখ।

ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, আমাদের চারদিকে অশুভ শক্তির তৎপরতা শুরু হয়েছে। ভারত বাংলাদেশকে ভাগ করে অর্ধেক অংশ নিয়ে নিতে চায়। অথচ সরকারের টু শব্দটি করছে না। তিনি বলেন, ভারত কোনো সময়ই বাংলাদেশে শান্তি শৃংখলা বজায় থাকুক সেটা চায় না। এক্ষেত্রে বাংলাদেশ সব সময়ই নতজানু নীতি গ্রহণ করছে। বাংলাদেশের সামনে সময় এসেছে ভারতে মুখোশ উন্মোচন করার।

তিনি বলেন, আমরা শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মবার্ষিকী মৃত্যুবার্ষিকী ঘটা পালন করছি কিন্তু তিনি সে নীতিতে বিশ্বাসী ছিলেন আওয়ামী লীগ এখন তার ধারে কাছেও নেই।

ড. মাহবুবউল্লাহ বলেন, কাজী জাফর আহমদ ছাত্রনেতা হিসেবে যেমন জনপ্রিয় ছিলেন, তেমনি তিনি শ্রমিক নেতা হিসেবেও একইভাবে সমান জনপ্রিয় ছিলেন। তিনি অনেক উচ্চপদে অধিষ্ঠিত হয়েছিলেন কিন্তু তার মনে কোনো পরিবর্তন হয়নি। কাজী জাফর আহমদ একজন ভিন্নমাত্রার রাজনৈতিক বিশ্লেষক ছিলেন বলেও তিনি উল্লেখ করেন।

গণতন্ত্র হত্যা করে মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ধ্বংস করে দিয়েছে সরকার : মির্জা ফখরুল

 গণতন্ত্রকে হত্যা করে মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ধ্বংস করে দিয়েছে সরকার বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। সোমবার (২৬ আগস্ট) গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক কার্যালয়ে শ্রীকৃষ্ণের জন্মাষ্টমী উপলক্ষে হিন্দু সম্প্রদায়ের সাথে শুভেচ্ছা বিনিয়ম অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার পক্ষ থেকে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। দেশে ‘ঘোর অমানিশা’ চলে উল্লেখ করে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের সংগ্রামে হিন্দু সম্প্রদায়কে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহবান জানিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, আমাদের ঘোরতর অমানিশা চলছে। মানুষের অধিকারগুলো কেড়ে নেয়া হয়েছে, মানুষের জীবনের কোনো নিরাপত্তা নেই। আমাদের যে প্রিয় স্বাধীনতা, যে স্বাধীনতার চেতনা ছিলো, যে চেতনায় আমরা যুদ্ধ করেছিলাম সেই চেতনার সমস্ত বিষয় ধ্বংস করে দিয়েছে গণতন্ত্রকে হরণ করে দিয়ে। এই সরকারের আমলে একদিকে গণতন্ত্রকামী মানুষ নির্যাতিত-নিপীড়িত হয়েছে, অন্যদিকে ভিন্নমতাবলম্বীরা নির্যাতিত হয়েছে। আরেকদিকে বিভিন্ন ধর্মের লোকজন তারাও নির্যাতিত হয়েছেন। হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর বর্তমান সরকারের আমলে নির্যাতনের কথা উল্লেখ করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, আমরা জানি কিভাবে আমাদের হিন্দু সম্প্রদায়ের ভাইদের সম্পত্তি আত্মসাৎ করা হয়েছে, কিভাবে তাদের নির্যাতন করা হয়েছে। আজকেই কিছুক্ষণ আগে সুশীল বাবু বললেন যে, ফেনীতে যাওয়ার পথে বৌদ্ধ পুরোহিত অমৃতা নন্দ ভিক্ষুকে হত্যা করে গোমতি নদীতে ফেলে দেয়া হয়েছে। দেখেছি যে, কিভাবে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন ধমের্র মানুষকে নির্যাতন করা হয়েছে। মানুষের কল্যাণের জন্য, দেশের মানুষের অধিকার ফিরিয়ে আনার জন্য দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া কারাগারে থেকে যে আন্দোলন করছেন আজকে আমাদের সকলকে সেই আন্দোলনে ঐক্যবদ্ধ হয়ে শরিক হতে হবে। সত্যিকার অর্থেই একটি কল্যাণমূলক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করতে হবে। বিরোধী দলের নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে সরকারের নিপীড়ন-নির্যাতনের পরিসংখ্যান তুলে ধরে তিনি বলেন, এই অনুষ্ঠানের শুরুটা করেছিলেন আমাদের দলের চেয়ারপারসন ১১৬ কোটি মানুষের নেতা দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া আমাদের মাঝে নেই। তাঁকে মিথ্যা মামলায় অন্যায়ভাবে এই সরকারের নির্যাতনের ফলে তিনি দীর্ঘ ১৬ মাস কারা অন্তরীণ হয়ে আছেন। আমাদের এদেশে ২৬ লাখ মানুষের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দেয়া হয়েছে। আমাদের এই রাষ্ট্রের এক লাখের ওপরে মানুষের বিরুদ্ধে মামলা দেয়া হয়েছে শুধুমাত্র এই অপরাধে গণতন্ত্র ফিরে পাওয়ার অপরাধে। আমাদের ৫শ’র বেশি মানুষকে গুম করে ফেলা হয়েছে, নিখোঁজ হয়ে গেছে। সেখানে হিন্দু নেই, মুসলমান নেই, বৌদ্ধ নেই, খ্রিষ্টান নেই। একমাত্র তাদের অপরাধ তারা তাদের গণতান্ত্রিক অধিকার ফিরে পেতে চায়, তারা তাদের অধিকার প্রতিষ্ঠিত করতে চায়। বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা ও হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিষ্টান ঐক্যফ্রন্টের আহবায়ক অ্যাডভোকেট গৌতম চক্রবর্তীর সভাপতিত্বে সহ-ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক অমলেন্দু দাশ অপুর পরিচালনায় শুভেচ্ছা অনুষ্ঠানে বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ড. আবদুল মঈন খান, ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট নিতাই রায় চৌধুরী, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য অধ্যাপক ড. সুকোমল বড়–য়া, বিজন কান্তি সরকার, কেন্ত্রীয় নেতা জয়ন্ত কুন্ড, অপর্না রায় দাশ, জন গোমেজ, রমেশ দত্ত, দেবাশীষ রায় মধু, অ্যাডভোকেট নিপুণ রায় চৌধুরী, মিল্টন বৌদ্ধ, তরুন দে, সুশীল বড়–য়া, রামকৃষ্ণ মিশনের স্বামী হরিপ্রমা নন্দ মহারাজ, ইসকনের দ্বিজমনি গৌরান্দ দাশ ব্রহ্মচারী প্রমুখ বক্তব্য রাখেন। অনুষ্ঠানে চট্টগ্রাম, পিরোজপুর, গাজীপুর, নেত্রকোনা বরিশাল, নাটোরসহ বিভিন্ন জেলা থেকে হিন্দু সম্প্রদায়ের সদস্যরা অংশ নেন।

আমার ছেলেকে ওরা গুলি করে মারল, আবার আমার ছেলের নামে মামলা দিলো। কোন দেশে বাস করি আমরা? আমার ছেলেকে ওরা মেরে ফেলেছে! আমি রাজপথে আছি, রাজপথে থাকবো। -গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার আন্দোলনের শহীদ শাওন'র পিতা।